Welcome to Dumur LTD !
Categories:
ডুমুরের মিক্সড আচার তৈরি করা হয় ৫ ধরনের ফল দিয়ে। সেই ফল গুলোর মধ্যে রয়েছে বরই, তেঁতুল,চালতা, জলপাই, আম। প্রতিটি ফলে রয়েছে আলাদা আলাদা উপকারিতা নিচে প্রতিটি ফলের উপকারিতা উল্লেখ করা হলো।
বরই এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বিদ্যমান, যারা টিউমারের উপর সাইটোটক্সিক প্রভাব বিস্তার করে। যার ফলে শরীরে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
শুকনো বরই এর মধ্যে স্যাপোনিন, অ্যাল্কালয়েড এবং ট্রাইটারপেনয়েড উপাদান থাকে যারা রক্ত পরিশুদ্ধ করে এবং হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
ইনসোমনিয়া এবং দুশ্চিন্তা অনেক মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায়। বরই এর শক্তিশালী কেমিক্যালগুলো অনিদ্রা এবং দুশ্চিন্তা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
এর ভেতরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি র্যাডিকেলগুলোকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এছাড়াও এর মধ্যে ভিটামিন সি, এ, বি২, ফাইটোকেমিক্যাল ইত্যাদি পাওয়া যায় যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
লিভারের সুরক্ষায়
শরীরের ফ্রি র্যাডিকেলগুলো লিভারের ক্ষতি করে। বরই এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি লিভারকে সুরক্ষা প্রদান করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করে
বরইতে ফ্যাট নাই বললেই চলে। ২ আউন্স (প্রায় ৪টি) বরই খেলে শরীরে ৪৪ ক্যালরি শক্তি যোগান দেয়, কিন্তু ফ্যাট প্রায় শূন্য। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণেও এরা সাহায্য করতে পারে।
হাড় মজবুত করে
এই ফলে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন ইত্যাদি সহ আরো অনেক ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায় যা হাড় শক্ত ও মজবুত করতে সাহায্য করে।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে
আয়রন ও ফসফরাস শরীরে রক্ত উৎপাদন এবং রক্ত সঞ্চালনের প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে। এছাড়াও বিভিন্ন দেশে পেটের সমস্যা দূর করতে, মাংসপেশি শক্তিশালী করতে এই ফলের ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তেঁতুলের পুষ্টিগুনের কথা শুনলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। তেঁতুলের পাতা থেকে শুরু করে ছাল-বাকল, তেঁতুলের বিচি বা বিজ, বিজের খোসা, পাকা তেঁতুলের খোসা সব কিছুই ব্যবহার হয়ে থাকে।
অন্য যে কোনো ফলের চেয়ে তেঁতুলে খনিজ পদার্থ অনেক বেশি।
আয়রনের পরিমাণ নারকেল ছাড়া বাকি সব ফলের চেয়ে ৫ থেকে ২০ গুণ বেশি।
তেঁতুল শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়।
তেঁতুল ত্বকের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ও ত্বক ভাল রাখে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, যদি কেউ প্রতি দিন নিয়মিত এক ঘণ্টা দ্রুত হাঁটে ও কমপক্ষে ২৫ গ্রাম করে তেঁতুল খায়, তা হলে হার্ট ব্লক হতে পারে না।
তেঁতুল খাওয়ার পরে যদি পাতলা পায়খানা হয় তা হলে বোঝা যাবে তেঁতুল শরীরে ভালো কাজ করছে। কারণ পাতলা পায়খানার সঙ্গে ফ্যাট গলে বের হয়ে যায়।
তেঁতুল ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
মুখের ঘা ও ত্বকের প্রদাহ সারাতে সাহায্য করে।
তেঁতুলপাতার তৈরি চা ম্যালেরিয়া জ্বর কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
তেঁতুল জন্ডিস রোগে উপকারী।
তেঁতুল ডায়াবেটিস কমায়।
পুরোনো তেঁতুল কাশি সারায়।
বাতের ব্যথা বা জয়েন্টে ব্যথা কমায়।
ভিটামিন সি-এর বড়ো উৎস এটি।
এতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ সব ফলের চেয়ে প্রায় ৫ থেকে ১৭ গুণ বেশি।
গর্ভাবস্থায় বমি ভাব দূর করে।
পাইলসের জন্য উপকারী।
শিশুদের পেটের কৃমি কমায়।
তেঁতুলের পাতা বেঁটে মরিচ ও সামান্য নুন দিয়ে মেখে বড়া তৈরি করে পান্তাভাতে খেলে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি হয়।
তেঁতুল রক্তে কোলেস্টেরল কমায়। দেহে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
আবার হাত-পা জ্বালা করলেও এই শরবতে উপকার পাওয়া যায়।
পুরোনো তেঁতুলের কার্যকারিতা বেশি। পেট ফাঁপা, বদহজম হলে পুরোনো তেঁতুল এক কাপ জলে ভিজিয়ে সামান্য নুন, চিনি বা গুড় দিয়ে খেলে অসুবিধা দূর হয়।
তেঁতুল রক্তে মেদ বা চর্বি কমানোয় বড়ো ভূমিকা রাখে। কোলস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
এর পাতার রসের শরবত সর্দি-কাশি, পাইলস ও প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমায়।
তেঁতুলের সঙ্গে রসুনবাঁটা মিশিয়ে খেলে রক্তের চর্বি কমে।
তেঁতুলের কচিপাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে।
এটি পরিপাকক্ষমতা বাড়ায়।
তেঁতুল রক্ত পরিষ্কার করে।
তেঁতুল হার্ট ভালো রাখে।
মুখের লালা তৈরি হয়।
চলুন জেনে নেই প্রতি ১০০ গ্রাম তেঁতুলের পুষ্টি গুন_
আমিষ ৩.১ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, শর্করা ৬৬.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৭০ মিলিগ্রাম, জলীয় অংশ ২০.৯ গ্রাম, মোট খনিজ পদার্থ ২.৯ গ্রাম, আঁশ ৫.৬ গ্রাম, আয়রন ১০.৯ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ৬০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি ২ ০.০৭ মিলিগ্রাম,খাদ্যশক্তি ২৮৩ কিলোক্যালোরি, ভিটামিন সি ৩ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১১৩ মিলিগ্রাম,পটাশিয়াম ৬২৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ই ০.১ মিলিগ্রাম, বিটা ক্যারোটিন ৬০ মাইক্রোগ্রাম, সেলেনিয়াম ১.৩ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ২৮ মিলিগ্রাম, দস্তা ০.১২ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৯২ মিলিগ্রাম, তামা ০.৮৬ মিলিগ্রাম। Tamarind Pickle.
চালতা দেখলেই মনে পরে যায় সেই স্কুলের সামনে বা রাস্তার মোড়ের সেই চালতার আচার খাওয়ার কথা।
চালতা শরীরে যেমন রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে, তেমনি পুষ্টি পূরণেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
চালতা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সির ভালো উৎস।
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকায় এই ফল স্কার্ভিং ও লিভারের রোগ প্রতিরোধ করে।
রক্তের সঞ্চালন ঠিক রাখে। চালতার বিভিন্ন উপাদান হার্টের নানা রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে।
চালতা পেটের নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
কিডনীর নানা রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে ।
চালতা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
স্বাদ ও পুষ্টিগুণ ছাড়াও জলপাইয়ে রয়েছে বেশ কিছু ঔষধী গুণাগুণ:
ওজন কমাতে সহায়তা করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।
হৃদযন্ত্রের উপকারিতায়।
আয়রনের অনেক বড় উৎস।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
ত্বক ও চুলের যত্নে ভালো কার্যকরী।
চোখের যত্নে জলপাই।
হাড়ের ক্ষয়রোধ করে।
পরিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
আম ওজন কমাতে সহায়তা করে।
জম শক্তি বাড়ায়।
চুল ও ত্বক উজ্জল করে।
শরীর ঠান্ডা থাকে।
অম্লতা দূর করে।
সকালের বমি বমি ভাব দূর করে।
ঝিমুনি দূর করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
শরীরে লবনের ঘাটাতি দূরকরে।
যকৃতের সমস্যা দূর করে।
ঘামাচি প্রতিরোধ করে।
রক্তের সমস্যা দূর করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।
স্কার্ভিং ও মাড়ির রক্ত পড়া রোধ করে।
উপাদান | |
সতর্কতা |
info@dumur.com.bd